আমি মুসলিম আমি প্রতারিত ! মুমিন প্রতারণা করে না প্রতারিতও হয় না...
Islam and Knowledge |
মুমিন প্রতারণা করে না প্রতারিতও হয় না...
(১) একটু বড় হয়ে যখনই আমরা কৈশোরে পদার্পন করি এবং ধর্মীয়
বিষয়াদি সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হই তখন আমাদের অনেকেই ধর্মীয় বিশেষজ্ঞদের সংস্পর্শে
আসেন আবার অনেকে ধর্মীয় বই-পুস্তক পাঠ করেন, কেউবা বন্ধু-বান্ধব বা বড় ভাইদের
দ্বারা সম্যক জ্ঞান লাভ করেন। অনেকের ক্ষেত্রে তাদের শিক্ষালয় থেকেও এসংক্রান্ত
শিক্ষা লাভ করেন।
*** কৈশোরে যখন আমাদের ধর্মীয় বিষয়াদির প্রতি কৌতূহল জাগে তখন এমন
কারো সং¯্রব গ্রহণ করা
উচিত যার আচার-আচরণ এবং ধর্মীয় কর্মকাÐ আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূলের (সঃ) হুকুম
আহকাম মোতাবেক হচ্ছে। এক্ষেত্রে অনেকেই বলেন কাকে আমি সহীহ আকীদাহ সম্পন্ন প্রকৃত
সুন্নাহের অনুসারী মনে করব। আপনার জন্য পরামর্শ হচ্ছে আপনি যদি সহীহ বিষয় খুঁজতে
থাকেন তবে অবশ্যই পেয়ে যাবেন। তবে হয়তোবা একটু কষ্ট করতে হবে। আল্লাহ আপনার সহায়
হন।
আপনার বন্ধু-বান্ধব বা কোনো বড় ভাই
হঠাৎ করেই একদিন প্রচলিত নামায, রোজা বা অন্য কোনো বিষয়ের নতুন নিয়ম বা পন্থা অবলম্বন করার কথা
বললেই সেটা থেকে আপনার বিরত থাকা উচিত। এ সংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে অবশ্যই একজন
ইসলামিক স্কলারের সাথে পরামর্শ গ্রহন করা উচিত।
Learn From Right Source |
আমাদের জন্য খুব কষ্টের বিষয় হল, সমাজে এখনো অনেক শিক্ষালয় আছে যেখানে
থেকে একজন মুসলমানের সন্তান প্রকৃত ইসলামের শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ধর্মীয়
শিক্ষার নামে তারা বিভিন্ন গলদ আকীদা শিখছে, সে অনুযায়ী আমল করছে এবং অন্যকেও
প্রভাবিত করছে। এসব ক্ষেত্রেও আমাদের সবার সজাগ দৃষ্টি রাখা উচিত।
(২) বর্তমান পৃথিবী ইন্টারনেট নির্ভর। কেউ চাইলেই তার কাঙ্খিতইসলামিক জিজ্ঞাসার সমাধান ইন্টারনেট থেকে সহজেই খুঁজে নিতে পারেন। আবার অনেকে
ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহনের মাধ্যম হিসেবে ইউটিউব, ফেসবুক বা অন্যান্য সোস্যাল মিডিয়া
অথবা ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াকে পছন্দ করেন।
আমি মুসলিম আমি প্রতারিত !
*** এ পদ্ধতি অনুসরণের দ্বারা আজকের সমাজের অধিকাংশ মানুষই প্রতারিত
হচ্ছেন। একজন আবেদ, যিনি ভালো মন্দের বিচার করতে জানেন না তিনি প্রায় সব জায়গা
থেকেই যে প্রতারিত হবেন এমনটা আশা করা বর্তমান সময়ে একেবারে অসমীচীন নয়। সুতরাং
ইন্টারনেট থেকে কোনো বিষয় গ্রহণ করার পূর্বে আমাদের অবশ্যই সে বিষয়ে সম্যক ধারণা
থাকতে হবে তা না হলে প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে খুব বেশি। ফেসবুক এবং ইউটিউবে প্রচারিত সকল তথ্যকেই আমাদের বিশ্বাস করতে হবে বা আকীদা হিসেবে গ্রহণ করতে হবে
এমনটা করা উচিত নয়। তবে কিছু নির্ভরযোগ্য ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া আছে যেখান থেকে আমরা
দ্বীনী অনেক বিষয়ে উপকৃত হতে পারবো।
(3) আমাদের বর্তমান সমাজের অনেক তরুণ-তরুণী, মধ্য
বয়সীদের মধ্যে ইসলামিক (!) নতুন নতুন আকীদা পোষণ করা এবং সেই অনুযায়ী ইসলামিক
হুকুম-আহকাম পালনের প্রবণতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এইসব ভাই-বোনেরা আসলে কোনটা
সহীহ আর কোনটা গলদ সেটি যাচাই না করেই মটিভেটেড হচ্ছেন।
*** এ প্রসঙ্গে আমাদের সকলের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। ইসলামের
প্রচলিত নিয়ম-কানুন ব্যতিরেকে হঠাৎ করেই কোনো ব্যক্তি ভিন্নতা প্রদর্শন শুরু করলে
তাকে তাঁকে এড়িয়ে যাওয়াই উত্তম। পরবর্তীতে উক্ত বিষয় সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জন
করে বিষয়টির সুরাহ করা উচিত।
আমি মুসলিম আমি প্রতারিত, উপরোক্ত বিষয়গুলো দ্বারা আমরা এটাই
বোঝাতে চাই যে, বর্তমান সময়ে ইসলামের সহীহ আকীদা গ্রহনের বিষয়ে যে সংকট চলছে
উপরের লেখা থেকে সেটা থেকে কিছুটা হলেও আমরা যেন বেরিয়ে আসতে পারি। আল্লাহ আমাদের
সবাইকে তাওফিক দান করুন। আমীন।
Very nice post, via onek kisu jante parlam...
ReplyDeleteThanks vai onek onek thanks
Deleteএকদম ঠিক, আসলে আমাদের সহীহ ইলম হাসিল করা একান্ত দায়িত্ব।
ReplyDelete